সৌম্যদীপ চট্টোপাধ্যায়, সিমি মেহতা, অর্জুন কুমার
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনার মোকাবিলায় গত ১৪ই এপ্রিল জাতির উদ্দ্যেশে ভাষণে সাতটি পদক্ষেপের অঙ্গ হিসাবে প্রবীণ নাগরিকদের যত্ন নেওয়ার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রবীণ ব্যক্তিরা, বিশেষ করে যারা হার্ট, কিডনি বা ফুসফুসের সমস্যায় ভোগেন তাঁদের করোনা সংক্রমণের থেকে বাঁচতে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে। বেশ কয়েকটি বিদেশী গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, কভিড -১৯ এর ফলে, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৪ শতাংশ, ৭৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী প্রবীণদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৮ শতাংশ, এবং ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ১৫ শতাংশ; সব মিলিয়ে গড় মৃত্যুহার হার প্রায় ২ শতাংশ। আমাদের দেশে ২০১১ সালের জনগননা অনুসারে, প্রবীণদের (৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী) জনসংখ্যা প্রায় ১০.৪ কোটি। একই সঙ্গে, NSS ৭৬ তম রাউন্ডের প্রতিবেদন (২০১৮) অনুসারে, ভারতে প্রতিবন্ধী জনসংখ্যা ২.৬ কোটি । তালাবন্দীর ফলে দেশজুড়ে কার্যত এক আর্থ সামাজিক এবং স্বাস্থ্য জরুরী অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সবথেকে অসুবিধায় পড়েছেন প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধী নাগরিকরা – তাদের পক্ষে দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য ন্যুনতম প্রয়োজনগুলি মেটানই ভীষণ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাথে রয়েছে হতাশা এবং উদ্বেগ জনিত সমস্যা। এই অসহায় মানুষ গুলিকে সাহায্যের হাত না বাড়ালে তাঁদের পক্ষে কভিড -১৯ এর চরম সংকটের মোকাবিলা করা প্রায় অসম্ভব।

সরকারের Ministry of Statistics and Programme Implementation (MoSPI) er ২০১৬ সালের ‘Elderly in India’ রিপোর্ট থেকে আমরা প্রবীণদের সমস্যার ব্যাপকতা সম্পর্কে কিছুটা আঁচ পেতে পারি। দেশের মোট জনসংখ্যার অংশ হিসাবে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর ভাগ ১৯৬১ সালের ৫.৬ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১১ সালে ৮.৬ শতাংশ হয়েছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি সামান্য হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৮.২ শতাংশ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি হলো ৯.০ শতাংশ। প্রবীণ জনসংখ্যার ৭১ শতাংশ গ্রামে এবং ২৯ শতাংশ শহরে বাস করেন । ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৫ শতাংশ কোন না শারীরিক অক্ষমতার শিকার। অপরদিকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার আইন ২০১৬, একুশ ধরণের অক্ষমতাকে মান্যতা দিয়েছে । এই শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী National Sample Survey ৭৬ তম রাউন্ডের প্রতিবেদন (২০১৮) ভারতের জনসংখ্যার ২.২ শতাংশকে প্রতিবন্ধী হিসাবে চিহ্নিত করেছে – শহরের (২.০ শতাংশ) তুলনায় গ্রামে (২.৩ শতাংশ) এবং পুরুষদের (১.৯ শতাংশ) তুলনায় মহিলাদের (২.৪ শতাংশ) মধ্যে বেশি প্রতিবন্ধী রয়েছে। সমস্যার বিষয় হলো , মোট প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ২৮ শতাংশের প্রতিবন্ধী শংসাপত্র রয়েছে, মাত্র ২১.৮ শতাংশ ব্যক্তি সরকারী সহায়তা পান, ১.৮ শতাংশ ব্যক্তি সরকার ব্যতীত অন্য সংস্থাগুলির কাছ থেকে সহায়তা পান এবং ৭৬.৪ শতাংশ ব্যক্তি কোনও সহায়তা পান না। National Sample Survey ৭৬ তম রাউন্ডের রিপোর্ট (২০১৮) অনুসারে, প্রায় ৪ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি একাকী বাস করে এবং ‘Elderly in India’ রিপোর্ট অনুসারে ১৪ শতাংশ প্রবীণ ব্যক্তি অন্যের উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন হাসপাতাল এবং পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলিতে তাঁদের প্রায়শই যাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা প্রায় অসম্ভব। এমনকি সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়ার মতো আপাত সাধারণ অভ্যাস পালন করার জন্যে এঁদের অনেককেই অন্যের উপর নির্ভর করতে হয় – যা বেশ সমস্যাদায়ক। এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের প্রতি নেতিবাচক সামাজিক মনোভাবও গুরুতর উদ্বেগের বিষয় – বিশেষত এই সময়ে যখন তাদের জীবন ও জীবিকা গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে । দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের কাজকর্মের জন্য সরাসরি স্পর্শ করতে হয় এমন নানান জিনিস যেমন ব্রেইল, বৈদ্যুতিন যন্ত্র ইত্যাদির উপর নির্ভর করেন , ফলে তাদের সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় । সিংহভাগ কোয়ারান্টাইন সেন্টারে প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধী বান্ধব পরিকাঠামো নেই। খুব সঙ্গত কারণেই, এই ধরণের সমস্যাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা এবং সেগুলির দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন।
আমাদের দেশে খাতায় কলমে প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধী নাগরিকদের জন্য নানান নীতি ও প্রকল্প রয়েছে। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ২০১১ সালে গৃহীত জাতীয় নীতিতে বার্ধক্যে আয়ের সুরক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, সুরক্ষা, আবাসন সহ আটটি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ২০০৬ সালে গৃহীত জাতীয় নীতিতে পুনর্বাসন (শারীরিক কৌশল, শিক্ষা, অর্থনৈতিক পুনর্বাসন), নারী ও প্রতিবন্ধী শিশু, সামাজিক সুরক্ষার মতো বিষয়গুলিতে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিলো । প্রবীণ নাগরিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে জাতীয় সামাজিক সহায়তা কর্মসূচি চালু করা হয়। এর পাঁচটি উপ-প্রকল্প রয়েছে: ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বয়স্ক পেনশন প্রকল্প (আইজিএনওএপিএস), ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বিধবা পেনশন প্রকল্প (আইজিএনডব্লিউপিএস), ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় প্রতিবন্ধী পেনশন প্রকল্প (আইজিএনডিপিএস), জাতীয় পরিবার সুবিধা প্রকল্প (এনএফবিএস) এবং অন্নপূর্ণা । রাজ্য স্তরেও কিছু অনুরূপ প্রকল্প রয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৪ কোটি সুবিধাভোগী রয়েছেন – কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় ৩.৩ কোটি এবং রাজ্য প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭০ লক্ষ সুবিধাভোগী নথিভুক্ত আছেন। করোনাভাইরাস সংকটের সময় প্রবীণদের সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় সামাজিক সহায়তা কর্মসূচির (এনএসএপি) আওতাধীন দরিদ্র প্রবীণ নাগরিকদের, পৃথকভাবে সক্ষম ও বিধবা মহিলাদের তিন মাসের পেনশন অগ্রিম দেবার সিদ্ধান্ত নেয় । এছাড়াও , প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা (পিএমজিকেওয়াই) এর আওতায় অর্থমন্ত্রী দরিদ্র প্রবীণ নাগরিক, প্রতিবন্ধী সম্প্রদায়ের এবং বিধবাদের জন্য দুই কিস্তিতে তিন মাসের জন্য এক হাজার টাকা দেবার প্রস্তাব করেন । এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য সরকার দরিদ্র প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, বিহার রাজ্য সরকার পেনশনধারীদের সরাসরি বেনিফিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে তিন মাসের অগ্রিম পেনশন দেবার বন্দোবস্ত করেছে। দিল্লি সরকার বিধবা, আলাদাভাবে সক্ষম ও প্রবীণদের মাসিক পেনশনের পরিমাণ দ্বিগুণ করে ৫০০০ টাকা করেছে। যদিও প্রতিবন্ধীদের অধিকারের দাবি নিয়ে সরব বিভিন্ন সংগঠন এবং বিশেষজ্ঞরা আর্থিক সহায়তার পরিমান “অত্যন্ত স্বল্প” এবং “অত্যন্ত অপ্রতুল” বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধী নাগরকিদের অর্থনৈতিক অবস্থার দিকে চোখ বোলালেই, এই সমালোচনার যথার্থতা বুঝতে সুবিধা হয় / Periodic Labour Force Survey (২০১৭-১৮) থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ভারতে প্রতি তিনজন প্রবীণ ব্যক্তির মধ্যে প্রায় একজন বাঁচার জন্য কিছু না কিছু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। যদিও দরিদ্রতম ৪০ শতাংশ পরিবারগুলির ক্ষেত্রে প্রবীণদের মধ্যে কাজের অংশগ্রহণের হার আরও কিছুটা বেশি, অর্থাৎ তাঁরা অর্থনৈতিক ভাবে ভীষণই দুর্বল। প্রায় তিন চতুর্থাংশ প্রবীণ ব্যক্তিরা স্বল্প উৎপাদনশীল কৃষি ও সহায়ক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত (৭৩ শতাংশ), নির্মাণ ক্ষেত্রে নিয়োজিত রয়েছেন ৭.৪ শতাংশ এবং হোটেল, বাণিজ্য ও রেস্তোঁরা কর্মরত রয়েছেন ৬.৩ শতাংশ ব্যক্তি। এর অর্থ হ’ল প্রায় ৮৭ শতাংশ প্রবীণ জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক সিড়ির নীচের চল্লিশ শতাংশ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এবং তাঁরা রয়েছন সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে। অন্যদিকে, NSS (২০১৮) সালের তথ্য অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিবন্ধীদের কেবলমাত্র ২৩ শতাংশ কর্মরত রয়েছেন। অর্থাৎ কিনা তিন-চতুর্থাংশের মতো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তাদের পরিবারের জীবিকা ও বেঁচে থাকার জন্য পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং সরকারী কল্যাণমূলক পরিকল্পনার উপর নির্ভরশীল। সর্বোপরি, কর্মরতদের মধ্যে সিংহভাগই স্বল্প উৎপাদনশীল কৃষিক্ষেত্র, স্বল্প আয়ের স্ব-কর্মসংস্থান এবং নিতান্তই খুচরো কাজে নিযুক্ত। সুতরাং,এটা পরিষ্কার যে অনানুষ্ঠানিক বা স্বল্প বেতনের কাজে নিযুক্ত প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধী নাগরিকদের তালাবন্দীর কারণে প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ছাড়াও কোভিডের আতঙ্ক ও অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রবীণ নাগরিকদের একাকিত্ব, উদ্বেগ, অসহায়তার সমস্যা একধাক্কায় বেড়ে গেছে বহু গুণ। ফলে মানসিক ও শারীরিক ভাবে আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন বয়স্করা। সবমিলিয়ে প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধী নাগরিকরা আরও জটিল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। স্বভাবতই এই সংকটের সময়, কেন্দ্রীয় তথা রাজ্য সরকারগুলি তাদের ত্রাণ সাহায্যের একটা অংশ কেবলমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী নাগরিকদের জন্য নির্দির্ষ্ট করার কথা ভাবতে পারে। নানান আশ্বাস সত্বেও, দরিদ্র প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর পেনশনের জন্য বাজেটের বরাদ্দ স্থিতিশীল থেকে গেছে বা কেবলমাত্র প্রান্তিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংকট চলাকালীন, জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের জন্য ২০২০ -২১-এর বাজেট বরাদ্দ দ্বিগুণ করার কথা ভাবা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রকল্পের সুভিধাভোগীদের সংখ্যা এবং আর্থিক সাহায্যের পরিমান বাড়ানো সম্ভবপর হবে। জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের আওতাভুক্ত হওয়ার জন্য ৮০ শতাংশ বা তারও বেশি অক্ষমতার একটি মানদণ্ড রয়েছে। NSAP ড্যাশবোর্ড অনুসারে, ২০১৯-২০ সালে আইজিএনওএপিএসের আওতায় ২.০৯ কোটি পেনশনার এবং আইজিএনডিপিএসের আওতায় ১৭.৩ লক্ষ পেনশনার রয়েছেন । এই কঠিন সময়ে জরুরী হলো যোগ্যতার মানদণ্ড শিথিল করা, যাতে করে আরও বেশি সংখ্যক মানুষজন তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হন । যেকোনো মহামারী মোকাবিলার জন্য সচেতনতা এবং তথ্য প্রচারের সর্বাধিক গুরুত্ব রয়েছে। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধীদের বিশেষ প্রয়োজন সম্পর্কে অবহিত এবং সংবেদনশীল হওয়া উচিত। একটি অনলাইন তথ্য এবং অভিযোগ পোর্টাল তৈরি করা প্রয়োজন যেখানে প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধীদের বয়স এবং সমস্যা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য খুব সহজেই পাওয়া যাবে এবং ন্যুনতম মানসিক এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ প্রাথমিক ভাবে তাঁরা পেতে পারবেন। সরকারী প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা আমলাতন্ত্রকেও সংবেদনশীল হতে হবে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পগুলির সঠিক রূপায়ণে এবং সেগুলি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে এনজিও, অ্যাডভোকেসি গ্রুপ এবং সুশীল সমাজের সমন্বিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সর্বোপরি, প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধী নাগরিকরা যাতে করে স্বাস্থ্যকর, উদ্বেগমুক্ত এবং নিরাপদ জীবন যাপন করতে পারেন, তা লক্ষ্য রাখার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই।

করোনা সংকটে কেমন রয়েছেন প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী নাগরিকরা
Source: LinkedIn
Photo courtesy: Diptendu Dutta/AFP | Scroll